Description
Yogurt (Bogurar Doi – বগুড়ার দই)
সারা বাংলাদেশে দই তৈরি হলেও বগুড়া্র দই খুবই বিখ্যাত কারণ এই দইয়ের সাথে মিশে আছে প্রায় ২৫০ বছরের ইতিহাস। ব্রিটিশ রাজত্বকাল থেকে এই দইয়ের প্রচলন শুরু হয়। স্বয়ং ব্রিটেনের রানী এই দইয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন –ক্রমে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। কথিত আছে, বগুড়া জেলার শেরপুর থানার ঘেটু ঘোষ প্রথম দইয়ের প্রচলন করেন। তার হাত ধরে তার উত্তরসূরিরা দইয়ের বাণিজ্যিক উৎপাদন করেন। কালক্রমে তা জনপ্রিয় হলে অন্যান্য জেলার মানুষ দই তৈরিতে উৎসাহিত হন। এভাবে সারা বাংলা তথা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে দই।
কেনো দই খাবেন ?
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: দইয়ে থাকা ব্যাকটেরিয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।এছাড়া দইয়ে থাকা ভিটামিন,প্রোটিন এবং ল্যাকটোব্যাসিলাস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- হজম শক্তি বাড়ায়: দই প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাদ্য যা আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। দইয়ে থাকা ব্যাকটেরিয়া পেট পরিষ্কার রাখে এবং হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে: টক দই আমাদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে কারন এতে কম পরিমানে চর্বি থাকে।
- হাড় ও দাতের সুরক্ষায়: দুগ্ধজাত পণ্য থেকে দই হয় যাতে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি যা হাড় ও দাতকে সুরক্ষা ও ক্ষয়রোধ করে।
- স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল ত্বক: দই আমাদের ত্বকের আদ্রতা থেকে বাঁচায় এবং ত্বক শুষ্ক হওয়া থেকে রক্ষা করে। এতে থাকা ল্যাক্টিক অ্যাসিড মৃত কোষ দূর করে ত্বককে রিফ্রেশ রাখে।
- ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে: দই খেলে দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধামন্দা দূর হয়। দইয়ে চর্বি কম থাকায় শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট বাসা বাঁধতে পারে না যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- ত্বকের যত্নে দই: দই মুখের উজ্জ্বলতা আনে। ব্রণ,মেছতা ও ত্বকের কালোভাব দূর করতে দই বিশেষ সাহায্য করে। কমলার খোসার সাথে সামান্য পরিমানে দই মিশিয়ে পরিষ্কার ত্বকে ম্যাসেজ করলে ত্বকে উজ্জ্বলভাব আসে। প্রতিদিন গোসলের আগে এক গ্লাস দই খেলে চেহেরায় স্টানিং লুকিং আসে। চুলকে কন্ডিশনিং করতে মেহেদি বা ডিমের সাথে দই মিশিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট চুলে রাখুন।
Reviews
There are no reviews yet.