Description
আপনি কি খেজুরের বীজ/চকলেট/বিস্কিট গুড় খুঁজছেন যা আসল স্বাদ এবং ঘ্রাণের গ্যারান্টি যুক্ত। কিন্তু কোথাও পাচ্ছেন না আমরা আপনার জন্য নিয়ে এসেছি আমাদের নিজস্ব উদ্যোগে তৈরিকৃত খেজুরের পাটালি গুড়। খেজুরের গাছ কাটার পরে ভোরবেলায় রসটা সংগ্রহ করা হয়। তারপরে দীর্ঘ সময় ধরে জাল দেওয়া হয়। জাল দেয়ার একটা পর্যায়ে গিয়ে গুড়ে পরিণত হয়।
Khejur Chocolate Gur–খেজুরের (চকলেট বা বীজ) গুড় জিনিসটা আসলে কী?
পাটালি গুড় বানানোর সময় রস জাল দিয়ে লালিগুড়ের চেয়েও ঘন করে, এরপর চুলা থেকে নামায়। নামিয়ে এক কোনায় অল্প কিছু গুড় কাঠের খুন্তি দিয়ে ঘষে-ঘষে বিজ তৈরি করে। সেই বীজ বাকি সব গুড়ের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দিলেই গুড় জমাট বাধা শুরু করে। অবশেষে তৈরি করা হয় থানগুড় বা পাটালিগুড়।
তাই বীজকে বলা যায় জমাট গুড়ের পূর্বপুরুষ!এখন কতটুকু গুড় তৈরিতে কতটুকু বীজ লাগে এটা আগের রাতের আবহাওয়া, রসের কোয়ালিটি ইত্যাদি অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে।আমরা এর স্বাদ বৃদ্ধির জন্য গুড় তৈরির মৌলিক উপাদান বীজের সাথে আরও কিছু মশলাপাতি, বাদাম ও ঘি মিশিয়েছি। চাইলে সাদামাটা গুড়বিজও দেয়া যাবে।
বীজ কিভাবে খায়?
সন্দেশ বা ক্যাটবেরি চকলেটের মত কামড়ে খায়। একটু একটু করে মুখে দিয়ে, জিহ্বা দিয়ে স্বাদ অনুভব করে করে খায়…। অনেকে আবার রুটি-পরোটা দিয়েও খায়। রুটি পরোটা দিয়ে খাবার জন্য নিলে স্পাইসি ফ্লেভার ছাড়া শুধু গুড়বীজ নিলেই ভাল স্বাদ পাবেন।
ছোটরা এটা খুবই পছন্দ করে। বড়দেরও ভাল লাগবে। তাই বাজারজাতের সময় এটাকে আমরা বীজ চকলেট নাম দিয়েছি।
খেজুর গাছ থেকে নির্গত সুস্বাদু রস থেকে খেজুর গুড় তৈরি হয়। অগ্রহায়ণ মাস থেকে শুরু করে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ করা হয়ে থাকে এবং সে রসকে ঘন গুড়ে পরিণত করা হয়। আপনাদের জন্য নিজেদের তত্ত্বাবধানে তৈরী যশোরের ঝোলা গুড় নিয়ে এসেছে যা সম্পূর্ণ নির্ভেজাল এবং সুস্বাদু।
চলুন জেনে নিই খেজুরের গুড়ের বহুবিধ উপকারিতা সম্পর্কে-
১. এ গুড় শরীরে তাপ উৎপাদন করে এবং দেহের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে সহায়তা করে।
২. এতে রয়েছে উচ্চমানের ক্যালোরিফিক যা শরীর উষ্ণ রাখে এবং শক্তি যোগায়।
৩. ক্ষতিকর অনুজীব বৃদ্ধি হ্রাস করতে সাহায্য করে এটি।
৪. খেজুরের গুড়ে থাকে নানা খনিজ উপাদান। যেমন- লৌহ, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, সেলেনিয়াম ও পটাশিয়াম। এ উপাদানগুলো রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সংক্রমণ দূরে রাখে।
৫. গলার সমস্যা যেমন- কফ, গলাব্যথা, ফোলা বা খুসখুস দূর করতে সাহায্য করে এটি।
৬. শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা যেমন- কাশি বা বুকে কফ জমাট বাঁধা, রক্ত প্রবাহে সমস্যা কমাতে সাহায্য করে এ গুড়।
৭. নিয়মিত খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়।
৮. খেজুরের গুড় রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
৯. এটি পাকস্থলী, অন্ত্র, ফুসফুস ও খাদ্যনালী সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
১০. শীতের শুষ্ক, ঠাণ্ডা আবহে জীবাণুর হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করতে এ গুড় অত্যন্ত কার্যকরী।
১১. এতে বিদ্যমান পটাশিয়াম, সোডিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
১২. খাওয়ার পর এক চামচ এ গুড় খান, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে মুক্তি মিলবেই।
১৩. ঠাণ্ডা লাগা কিংবা সর্দিতে কুসুম গরম পানিতে এটি মিশিয়ে খেলে সর্দি-কাশি ভালো হয়।
১৪. খেজুরের গুড়ে রয়েছে এলার্জি বিরোধী উপাদান যা দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। হাঁপানি থাকলে সেরে যায়।
১৫. গরমকালে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে এ গুড়ের শরবতের বিকল্প নেই।
১৬. এটি খেলে এনার্জি পাবেন চটজলদি।
১৭. লিভার থেকে দূষিত পদার্থ বের করে সূস্হ রাখতে সাহায্য করে ন্যাচারাল এ ফুড।
Reviews
There are no reviews yet.